সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
অনুসন্ধান ২৪ >> জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ১১টি কমিশন করা হলেও শিক্ষা সংস্কার কমিশন কেন করা হয়নি। তিনি বলেন, শিক্ষা খাতে বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে কেন কমছে, এ বিষয়ে তদারকি প্রয়োজন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন প্রশ্ন রাখেন। লক্ষ্মীপুর সোসাইটি ও আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, ‘১১টি কমিশন করা হয়েছে। শিক্ষা কমিশন কিন্তু করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে একটা তদারকি কমিটি করা হয়েছে, যার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষা খাতে জিডিপিতে এবার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৩ শতাংশ। বাংলাদেশে এতগুলো সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ৪০ লাখের মতো বেকার। তার মধ্যে জিপিএ ৫ পাওয়ায় অধিকাংশ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তাদের অধিকাংশই জিপিএ ৫ পাওয়া।
আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে ৪ শতাংশ জিডিপি দেওয়া আছে। বাংলাদেশের চারপাশে যত দেশ আছে, সব দেশেই ৩ এর ওপরে। আমাদের দেশে মাত্র ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সেই দেশে মানুষ স্বপ্নের মতো বড় হবে কিভাবে।
জাবি উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান আরো বলেন, ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে দেখেছি উপাচার্য এবং বায়তুল মোকাররমের ইমাম পালিয়ে যায়।
স্বাধীনতার এত বছর পর এত ব্যর্থতা অভিভাবকদের পক্ষ থেকে আর কী খুঁজে পাই? আইনপ্রণেতা, উপাচার্য পালিয়ে যাচ্ছে। এমন একটি দেশের হাল ধরতে যাচ্ছেন, আপনারা ভুলে যাবেন না। এ রকম জীবিকার বহু মানুষই এদেশে ছিল, অনেকেই অভিভাবকের দায়িত্বে ছিল, দায়িত্ব পালন করতে পেরেছে? আমরা দেখেছি বেনজীর-মতিউর মেধার দিক থেকে অতুলনীয় ছিল। আমরা যদি মেধাভিত্তিক একটা সমাজ তৈরি করতে যাই, আমরা যদি মেধার ভিত্তিতে এই জায়গাটিকে বন্ধন করতে যাই, যদি এই ধরনের মানুষদেরকে দায়িত্ব দিতে যাই-তাহলে ছাগলকাণ্ডের মতিউর আর বেনজীরদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, তার বাইরে কিছু কি আছে?
জাবি উপাচার্য বলেন, আমরা একটি স্বপ্ন দেখতে চাই। আমরা আর রক্ত ঝরাতে চাই না। আমরা এমন একটা সমাজ চাই, যেখানে বেনজীর-মতিউররা জন্মাবে না। যেখানে শুধু জিপিএ ৫ পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়বে না। নৈতিকভাবে আলোকিত মানুষ দরকার।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নেছা খন্দকার, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব, বাফুফের সহসভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ এইচএম অলি উল্লাহ প্রমুখ।